ক্লাস ও পরীক্ষার ফাঁকে গত ডিসেম্বর মাসজুড়েই নগরের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ জমজমাট ছিল নানা আয়োজনে। বিভাগের ডিবেট ক্লাব অব ল সংগঠনের আয়োজনে ছিল বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতাসহ মানবাধিকার দিবসের দেয়ালিকা প্রদর্শনী। এ ছাড়া ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অনুষ্ঠিত হয় ‘শ্রমিক অধিকার ও শ্রম আইনের প্রয়োগ’ শিরোনামের আরও একটি দেয়ালিকা প্রদর্শনী।
দেয়ালিকা প্রদর্শনী: বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষর্থীদের আয়োজনে করে সপ্তাহব্যাপী দেয়ালিকা প্রদর্শনীর। ৫ জানুয়ারি বিকেলে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন। আইন বিভাগের সভাপতি তানজিনা আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব মো. মাহাবুবুর রহমান। বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আহমেদ রাজিব চৌধুরী ও প্রদর্শনীর সমন্বয়ক হিল্লোল সাহা। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের তৈরি ১৫টি দেয়ালিকা স্থান পায়। এ ছাড়া শ্রম আইনের প্রয়োগ বিষয়ে দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এসব প্রদর্শনীতে উঠে আসে বাংলাদেশে শ্রম আইনের প্রয়োগ এবং শ্রমিক অধিকারের বাস্তব চিত্র।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা: ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মানবাধিকার বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বের আয়োজন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষেÿ মাসব্যাপী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিতর্ক সংগঠন ডিবেট ক্লাব অব ল। এই আয়োজনে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি।
এ প্রতিযোগিতায় বিতর্ক ছাড়াও ছিল মানবাধিকারবিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা ও দেয়ালিকা প্রদর্শনী। মানবাধিকার বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি সেমিস্টারের ১৬টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করে।
সমাপনী পর্বের আসরের শুরুতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা। মানবাধিকার বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করে ছায়াসংসদের বিরোধী দল ‘ডেমোক্রেসি’ ও রানার্সআপের পুরস্কার নেয় সরকারি দল ‘গুড গভর্নেন্স’। এ প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিকের পুরস্কার ওঠে শ্রাবত্মী দাশগুপ্তার হাতে। মানবাধিকারবিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন রোজ বড়ুয়া ও রানারআপ হন সুমাইয়া শারমিন।
সুত্র- প্রথম আলো 

প্রযুক্তি বিষয়ক আন্ত:ক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এবং রানার্সআপ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট)।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে শুক্রবার থেকে শুরু হ্ওয়া এই প্রতিযোগিতা শেষ হয় গতকাল শনিবার


‘কতটুকু এগিয়েছে মানুষ?’ এই স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ টি ডিবেট ক্লাবের মোট ২৯ টি টিম।
প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক দুর্জয় বৈদ্য টেকশহরকে জানান, ‘প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে মনে করি, প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। এই ভাবনা থেকেই এই প্রযুক্তি বিতর্কের আয়োজন করেছি। বাংলাদেশে এটা একমাত্র আমরাই করে থাকি।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার শেষ দিনে চুয়েটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
সুত্র- টেকশহর .কম

 রোববার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেসিদে রোড ক্যাম্পাসে আইন বিভাগের বিতর্ক সংগঠন ডিবেট ক্লাব অব ল’র (ডিসিএল) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা।প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত ১৬টি দল জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক আইনি বিষয় নিয়ে এ যুক্তির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন।
চূড়ান্ত পর্বের সংসদীয় বিতর্কের নির্ধারিত বিষয় ছিল “এই সংসদ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডকে নিষিদ্ধ করবে”। এই বিষয়ে সরকারী দল ‘বোনাফাইড’কে পরাজিত করে বিরোধী দল ‘রুল অব ল’ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসাবে পূজন ভট্টাচার্য্য এবং মেমোরিয়াল অ্যাওর্য়াড লাভ করে চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা সাব্বির।
এরপর আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব (যুগ্ম জেলা জজ) মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা প্রমাণ করে ইতোমধ্যেই নিজেদের নেতৃত্বের আসনে নিয়ে গেছেন। বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে যুক্তিবাদী সমাজ গঠন ও সাহসী নেতৃত্ব তৈরীতে আইনের ছাত্রদের এ জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার যুগ্ম জেলা জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ, ডিবেট ক্লাব অব ল’র মডারেটর আহম্মদ রাজীব চৌধুরী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (পি ইউ ডি এস) এর মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস এবং হিল্লোল সাহা।
এসময় আইন বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে মেহের নিগার, ফাহমিদা কাদের, ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ নোমান, ইয়াসমিন ফারজানা ও মেহেরুন্নেসা বেগম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিইউডিএস’র সভাপতি সাবের শাহ।
পেশীশক্তি নয় চাই বুদ্ধিশক্তি পিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক উৎসব শুরু পেশীশক্তি নয় চাই বুদ্ধিশক্তি  |  পিইউডিএস জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইটি বিশেষজ্ঞ মুনীর হাসান প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক উৎসব গতকাল ১৯জুন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এ উৎসবে ঢাকা, সিলেটসহ সারা দেশের ২৪ টি বিতর্ক দল অংশ নেয়। উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব যুগ্ম জেলা জজ মাহবুবুর রহমান।

 পিইউডিএস চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে অতিথি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর বিভাগীয় সম্পাদক মুনীর হাসান, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, পিইউডিএস মডারেটর সাইফুদ্দিন মুন্না, সভাপতি সাবের শাহ্‌, সহ সভাপতি শহিদুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন, ‘ কোনো জাতি যদি পেশী শক্তির চেয়ে বুদ্ধিশক্তিতে জোড় দেয় তাহলে সে জাতি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিতর্ক আমাদেরকে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুনীর হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতিকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। বিতর্কের মত সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে মেধাবীদের দেশের দায়িত্ব নিতে হবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরিবেশনায় বেলুন বিতর্ক ও পিইউসি রোবোটিক্স ক্লাবের পরিবেশনায় রোবট শো অনুষ্ঠিত হয়। আজ সারা দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় দলের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও ২১ জুন বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের সহযোগিতা করছে স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার।
সুত্র - সুপ্রভাত বাংলাদেশ 
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (পিইউডিএস) আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এবার বিজয়ী হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এ উৎসবে ঢাকা, সিলেটসহ সারা দেশের ২৪ টি বিতার্কিক দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসটিসি)। 

চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কের বিষয় ছিল- এই সংসদ মনে করে, তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দু’মেয়াদী সরকার ব্যবস্থা। 

বিতর্কে বিরোধী দলে থাকা ইউএসটিসিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি দলে অবস্থানকারী জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন সাব্বির আহমেদ। প্রতিযোগিতার ডিবেটার অব দ্যা টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চুয়েট বিতর্ক দলের শুভদ্বীপ কর। 

উৎসবের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেন, ‘পুরো পৃথিবীটা যুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। বড় বড় বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে দার্শনিক, ইতিহাসবিদ সবাই যুক্তি দিয়ে তাদের দর্শন তুলে ধরেছে। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বিতর্ক হতে হবে তথ্যনির্ভর, এজন্য লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই।’ 

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস, হিল্লোল সাহা, সাইফুদ্দিন মুন্না, সংগঠনের সভাপতি সাবের শাহ, সহ-সভাপতি শহীদুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম

হাতে আছে ১ কোটি টাকা। চট্টগ্রামকে টার্গেট করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে লাভজনক কোনো ব্যবসা। সময় দেয়া হল ৭ দিন। যেমন শর্ততেমন পরিকল্পনা। নিত্যনতুন অভিনব ধারণা তৈরিতে নেমে পড়ল একদল শিক্ষার্থী। জরিপইন্টারনেট সার্ফিংকর্পোরেট ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তৈরি হয়ে গেল নতুন ব্যবসায় ধারণা। আর তা তুলে ধরা হল ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারীদের সামনে।

 আর এর মধ্যে বাঁশ দিয়ে পরিবেশ বান্ধব আসবাব তৈরির ধারণা দিয়ে পুরস্কার জিতে নিল একটি দল। কথা হচ্ছিল নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজিত ব্যবসায় ধারণা বিষয়ক ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা ‘পিইউডিএস বিজ প্রফেশনাল্‌স’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে নিয়ে। গতকাল ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগি দলগুলো নিত্যনতুন ব্যবসায়ের ধারণাপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের কেইস সমাধানব্র্যান্ডিং,রি-ব্র্যান্ডিংপ্রমোশনাল বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৩২টি দল থেকে ৪টি দল ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। সবচেয়ে অভিনব ব্যবসার ধারণা দিয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ব্যাবসায় ফ্যাকাল্টির ৭ম অধিবর্ষের দল আর্ক টু এবং রানার আপ হয় এফবিএস ২১তম ব্যাচের দল রিসোর্সফুল। 

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি ছিলেন ওয়ান ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদুল আমিন রাশেদ,হাবিব ব্যাংকের কর্পোরেট রিলেশনশীপ ম্যানেজার মুজিবুর রহমান মনিপ্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান মঈনুল হক ভূঁইয়া,ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান সুজন কান্তি বিশ্বাসমার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিয়া আকতার। পিইউডিএস’র চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পিইউডিএস’র মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস,সাইফুদ্দিন মুন্নাপোয়েটিক ইংলিশ জোনের প্রধান নির্বাহী মাশরুর ও পিইউডিএস সভাপতি সাবের শাহ্‌।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব শনিবার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এ উৎসবে ঢাকা,সিলেটসহ সারা দেশের ২৪টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ইউএসটিসি)। ফাইনাল বিতর্কের বিষয় ছিলএই সংসদ মনে করেতৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ২ মেয়াদী সরকার ব্যবস্থা। বিতর্কে বিরোধী দলে থাকা ইউএসটিসি বিতর্ক দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি দলে অবস্থানকারী জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন সাব্বির আহমেদ। প্রতিযোগিতার ডিবেটার অব দ্যা টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চুয়েট বিতর্ক দলের শুভদ্বীপ কর।

উৎসবের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঅনুপম সেন। পিইউডিএস চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে সমাপনী পর্বে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীপিইউডিএস এর মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাসহিল্লোল সাহা,সাইফুদ্দিন মুন্না। বক্তব্য রাখেন পিইউডিএস এর সভাপতি সাবের শাহসহসভাপতি শহীদুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন পুরো পৃথিবীটা যুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। বড় বড় বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে দার্শনিক,ইতিহাসবিদ সবাই যুক্তি দিয়ে তাঁদের দর্শন তুলে ধরেছে। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর বিতর্ক হতে হবে তথ্যনির্ভরএজন্য লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিতর্ক মানুষকে আলোর পথে চলার পথ দেখায়। পিইউডিএস যে কাজগুলো করছে তা এ আলোর পথের একটি বড় ধাপ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়চুয়েটইউএসটিসিইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

সুত্র- দৈনিক আজাদী 
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে জাতীয় বিতর্ক উৎসব গতকাল বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এ উৎসবে ঢাকা,সিলেটসহ দেশের ২৪টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করছে। 

উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব(যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদামোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। পিইউডিএস চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসানদৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলপিইউডিএস মডারেটর সাইফুদ্দিন মুন্নাসভাপতি সাবের শাহ্‌সহ সভাপতি শহিদুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেনকোনো জাতি যদি পেশী শক্তির চেয়ে যদি বুদ্ধিশক্তিতে জোড় দেয় তাহলে সে জাতি সবচেয়ে বেশী এগিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিতর্ক আমাদেরকে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠনে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করতে পারে।
 অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুনীর হাসান বলেন,বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতিকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবেবিতর্কের মত সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে মেধাবীদের দেশের দায়িত্ব নিতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরিবেশনায় বেলুন বিতর্ক ও পিইউসি রোবোটিক্স ক্লাবের পরিবেশনায় রোবট শো অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় দলের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও ২১ জুন বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি প্রাঙ্গনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়চুয়েটইউএসটিসিইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

সুত্র - দৈনিক আজাদী 
মঞ্চে যুক্তি-তর্কের খেলা। মুখোমুখি সরকারি ও বিরোধী দল। তর্কের বিষয় ‘চিন্তার বিবর্তনে ভাষা হোক হাতিয়ার’। দুই পক্ষের যুক্তির মিছিলে বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল ভাষার জয়গান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (পিইউডিএস) আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের চিত্র এটি। ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা চার দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিতর্ক ক্লাবের ৩০টি দল।

২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তক মোড় ক্যাম্পাস মিলনায়তনে বসে প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বের আসর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন, ‘বিতর্ক মানুষের চিন্তাশক্তি ও যুক্তিবোধকে বৃদ্ধি করে। সভ্যতার বিবর্তনে পুরো বিশ্বজগৎ যখন যুক্তির মাধ্যমে চলে, তখন আমাদের সমাজকেও যুক্তির আলোকে বিনির্মাণ করতে হবে।

পিইউডিএসের চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে সমাপনী পর্বের আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার মনির, প্রক্টর আহমেদ রাজীব চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আব্দুর রহিম, টোটন চন্দ্র মল্লিক, কিংশুক ধর, মো. তরিকুল আলম, পিইউডিএসের মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস ও সাইফুদ্দিন। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন পিইউডিএসের সাবেক সভাপতি সাবের শাহ, সভাপতি আনিসুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চৌধুরী।

চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। সংসদীয় বিতর্কে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সরকারি দলে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। এ আয়োজনে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক শুভদ্বীপ কর। সমাপনী পর্বের আসরে কথামালা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এরপর কেক কেটে পিইউডিএসের পঞ্চম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করা হয়।
সুত্র -  প্রথম আলো 

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ব্যবসায় ধারণাবিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘পিইউডিএস বিজ প্রফেশনাল্স’-এর চূড়ান্ত পর্ব ২ মার্চ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তক মোড় ক্যাম্পাসে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ভিন্নধর্মী এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩২টি দল অংশ নেয়। 
প্রতিযোগী দলগুলো নিত্যনতুন ব্যবসায়ের ধারণা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের কেইস সমাধান, ব্র্যান্ডিং-রি-ব্র্যান্ডিং, প্রমোশনাল বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। 
৩২ দল থেকে চারটি দল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়। সবচেয়ে অভিনব ব্যবসার ধারণা দিয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ব্যবসায় অনুষদের সপ্তম অধিবর্ষের দল আর্ক টু এবং রানার আপ হয় এফবিএস ২১তম ব্যাচের দল রিসোর্সফুল। 
সমাপনী দিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি ছিলেন ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদুল আমিন, হাবিব ব্যাংকের কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি মঈনুল হক ভূঁইয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সুজন কান্তি বিশ্বাস ও মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি সাদিয়া আকতার। 
পিইউডিএসের প্রধান সঞ্চালক জুলিয়া পারভিনের সভাপতিত্বে সমাপনী পর্বে বক্তব্য দেন সঞ্চালক সঞ্জয় বিশ্বাস, সাইফুদ্দিন, পোয়েটিক ইংলিশ জোনের প্রধান নির্বাহী মাশরুর ও পিইউডিএসের সভাপতি সাবের শাহ্। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

সুত্র - প্রথম আলো 

‘এই সংসদ জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো মন্ত্রীর অপসারণকে সমর্থন করে না’—সরকারি দলের এই প্রস্তাবে লেগে যায় তুমুল তর্ক। এক পক্ষ যুক্তি দেয় তো অপর পক্ষ তা খণ্ডন করে ছুড়ছে আরেক যুক্তি। একের পর এক যুক্তিবাণে ত্রাহি অবস্থা দুই দলেরই। অবশেষে পরাস্ত হয় সরকারি দল। ব্রিটিশ সংসদীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই বিতর্ক প্রতিয়োগিতার আসর বসে ১৩ ডিসেম্বর নগরের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে। এতে সরকারপক্ষের উচ্চকক্ষে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক দল এফবিডিএ-৩ ও নিম্নকক্ষে এফবিডিএ-১। অপর দিকে বিরোধী দলের উচ্চকক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইউডিএস-৩ ও নিম্নকক্ষে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক দল।
তর্কের লড়াইয়ে অবশেষে চ্যাস্পিয়ন হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক দল সিইউডিএস-৩। রানার্সআপ হয় এফবিডিএ-১। শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার ওঠে সিইউডিএসের বিতার্কিক জাহেদুর রহমানের হাতে। প্রতিযোগিতায় ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতে নেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক আনিসুর রহমান।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (পিইউডিএস) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি বিতর্ক দল।
চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক শেষে ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব মাহবুবুর রহমান ও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের কার্যনির্বাহী সহসভাপতি এস এইচ মুখতার আহমেদ। পিইউডিএসের সাবেক সভাপতি সাবের শাহের সঞ্চালনায় সমাপনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি সাদাত জামান খান।
বক্তব্য দেন পিইউডিএসের চিফ মডারেটর জুলিয়া পারভীন, মডারেটর সঞ্জয় বিশ্বাস, সাইফুদ্দিন, হিল্লোল সাহা, সংগঠনের সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শুভাশিষ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যুক্তির চর্চা মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে বৃদ্ধি করে। আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে বিতর্কের চর্চা করে যাওয়া উচিত। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুক্তির পথে এগিয়ে যেতে পিইউডিএসের এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে। সমাপনী পর্বের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ সময় গানে গানে উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখে ব্যান্ড দল মানচিত্র
 সুত্র প্রথম আলো 


বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না।২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। তিনি এই মুদ্রাব্যবস্থাকে পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন নামে অবিহিত করেন।
বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগ ব্যাবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন হয়। ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকয়েনগুলো প্রত্যেক চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরী হয়ে গেলে আর কোন নতুন বিটকয়েন তৈরী করা হবে না।
যেহেতু বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি কোনভাবেই অনুসরণ করা যায় না তাই বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।.বৈধ পণ্য লেনদেন ছাড়াও মাদক চোরাচালান এবং অর্থপাচার কাজেও বিটকয়েনের ব্যাবহার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও বিটকয়েন ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে এর দর মারাত্মক ওঠানামা, দুষ্প্রাপ্যতা এবং ব্যবসায় এর সীমিত ব্যবহারের কারণে অনেকেই এর সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি কানাডার ভ্যানক্যুভারে বিটকয়েন এর প্রথম এটিএম মেশিন চালু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এটি বিটকয়েনকে আরও আগিয়ে নিয়ে যাবে। মাদক, চোরাচালান অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা ও অন্যান্য বেআইনি ব্যাবহার ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডীয় সরকার বিটকয়েনের গ্রাহকদের নিবন্ধনের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে।
কার্যপ্রনালীঃ
বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। এটি কোন কেন্দ্রীয় নিকাশঘরের মধ্য দিয়ে যায় না কিংবা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারে। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কতৃক অন্য কারও একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরী হয়ে যায় যা অন্যান্য মাইনার কতৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ হয়।
বিটকয়েন দিয়ে কোন পন্য কেনা হলে তা বিক্রেতার একাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকয়েন দিয়ে পুনরায় পন্য কিনতে পারে, অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক চার বছর পর পর বিটকয়েনের মোট সংখ্যা পুনঃনির্ধারন করা হয় যাতে করে বাস্তব মুদ্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়।


আমরা সকলেই বিভিন্ন সময় বিতর্ক করতে গিয়ে ফৌজদারি আইন কথাটি নিয়ে আসি,কিন্তু আসলেই আমরা কতটুকু জানি।এই না জানা জ্ঞানের ধারাবাহিকতা প্রকাশের প্রথম অংশ হিসেবে এই লেখাঃ(শুধু লাইক না দিয়ে একটু পোষ্টটা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।পরবর্তীতে আরো লেখা প্রকাশিত হবে বিভিন্ন বিষয়ে)
ফৌজদারি আইন অপরাধ দমন ও অপরাধ উদ্ঘাটন, অপরাধীদের বিচার এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে অপরাধীদের প্রদত্ত শাস্তি বা দন্ডের পরিমাণ সম্পর্কিত আইনবিধান। ফৌজদারি আইন ইংরেজ ও দেশীয় প্রথার সমন্বয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিকশিত হয়েছে। দেশীয় প্রথার ছিল দুটি ভিন্ন ধারা। একটি ধারা ছিল মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অর্থাৎ মুসলিম আইনের আওতাভুক্ত। অপরদিকে ছিল হিন্দু প্রথা ও রীতিনীতি। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে ফৌজদারি আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করতে প্রায় তিন দশক সময় লেগে যায়। আইনের এই সারগ্রন্থ রচনা ছিল দুটি আইন কমিশনের শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টার ফল। টমাস বেবিংটন ম্যাকলের নেতৃত্বে প্রথম কমিশন গঠিত হয় ১৮৩৭ সালে। দ্বিতীয় কমিশন ১৮৫৩ সালে ইংল্যান্ডে গঠন করা হয়।
এ সময়ের অন্যতম বিতর্কিত বিষয় ছিল ভারতে অবস্থানকারী ইউরোপীয় এবং ভারতীয়দের জন্য স্বতন্ত্র বিধিব্যবস্থার প্রবর্তন। ইউরোপীয়দের পৃথক আদালত এবং স্বতন্ত্র আইনের অধীনে আনা হয়েছিল। একই আইনের অধীনে নিরাপত্তা বিধানের সমতা এবং আইনের শাসনের নীতির উপর ভিত্তিশীল অভিন্ন বিচার ব্যবস্থার প্রবর্তন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠে। এক্ষেত্রেই ম্যাকলে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি আইন প্রণয়নের ভিত্তির নীতিমালা নির্ধারণ করে দেন। তিনি একটি সর্বজনীন সমতার নীতি নির্ধারণ করেন এবং যেক্ষেত্রে তা সম্ভব সেক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা এবং ক্ষেত্রবিশেষে পার্থক্য সৃষ্টি করা। এটিই ছিল পথনির্দেশক নীতি যার মাধ্যমে বিচার প্রশাসনের দ্বৈত ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের লক্ষ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ প্রক্রিয়ার ফলেই প্রণীত হয় ভারতীয় পেনাল কোড (১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন) এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৬১ সালের ২৫ নম্বর আইন)। ১৯৪৭ সালের পর ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান পেনাল কোড করা হয়। অনুরূপভাবে ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তান পেনাল কোড বাংলাদেশ পেনাল কোড নামে পরিচিত হয়। নামের ক্ষেত্রে পরিবর্তন ছাড়া সামান্য কিছু পরিমার্জন সহ পেনাল কোড প্রায় অপরিবর্তনীয় থাকে। ফৌজদারি কার্যবিধি সম্পর্কেও ওই একই কথা বলা যায়। এটি প্রণীত হয় পেনাল কোডে সংযোগ করার জন্য, কেননা পেনাল কোডই ছিল প্রকৃত বস্ত্তনিষ্ঠ ফৌজদারি আইন। আইন বিশেষজ্ঞগণ এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি একটি বিশেষণমূলক বা প্রক্রিয়াগত আইন, আর পেনাল কোড হলো স্বাতন্ত্র্যমন্ডিত বাস্তব আইনবিধান। এ পার্থক্য শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তিসিদ্ধ। ফৌজদারি কার্যবিধিতে রয়েছে অপরাধ দমনের জন্য এবং অপরাধীকে পেনাল কোডে অথবা কোন বিশেষ বা স্থানীয় আইনে (ঐ আইনে কোন বিধান না থাকলে) বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের কারণে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করার বিধিসমূহ। কার্যবিধিতে বিচারের জন্য আদালতের শ্রেণি এবং তাদের অধিক্ষেত্রও সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এতে রয়েছে তদন্ত, বিচারকার্য বা অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন আদালত কর্তৃক অনুসরণযোগ্য কার্যপ্রণালী বিধি।
অবশ্য একথা বলা সংগত হবে যে, ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তা ও তথ্য প্রদান করা, পুলিশ ও গ্রেফতারকারী ব্যক্তিবর্গ, দলিলপত্র দাখিল ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি উপস্থাপন করতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া এবং অন্যায়ভাবে আটককৃত ব্যক্তিবর্গকে উদ্ঘাটন, পুলিশের নিবর্তনমূলক কাজ, স্ত্রীদের ও সন্তানদের ভরণপোষণ করা, হেবিয়াস কর্পাসের প্রকৃতিতে নির্দেশনা এবং সম্পত্তি বিক্রয় বা বিলি ব্যবস্থার মতো সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান ফৌজদারি কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেগুলো প্রকৃতিগতভাবে স্বাধীন স্বাতন্ত্র্যমন্ডিত আইন। অপরদিকে পেনাল কোডের বিষয় হচ্ছে কোনো অপরাধের প্রকৃতির সংজ্ঞা দান এবং আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে যথোপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করা। এটিই হচ্ছে প্রক্রিয়াগত আইন এবং স্বাধীন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত আইনের মধ্যে পার্থক্য।
পেনাল কোডের দন্ডবিধান ছাড়াও বিশেষ এবং স্থানীয় আইন ফৌজদারি আইনের আওতাভুক্ত। বিশেষ আইনসমূহ বিশেষ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেগুলো পেনাল কোডে অন্তর্ভুক্ত হলেও তা যথার্থ শাস্তি বা দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা দেয় না। দৃষ্টান্তের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত আইন, নির্যাতন বা আক্রমণ থেকে মহিলাদের রক্ষা করার জন্য আইন, ইত্যাদি। স্থানীয় আইনসমূহ প্রধানত পৌর আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তা নগর এলাকায় সংঘটিত অপরাধ দমন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত।
লিখেছেন প্রতীক, বিতার্কিক প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি 

ইন্টারপোল কী?ইন্টারপোল হচ্ছে বিশ্বের ১৯০ টি দেশ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা। ইন্টারপোলেরমাধ্যমে অপরাধীদের আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণও আটকের কাজটি সমন্বয় করা হয়। আধুনিক কালেসন্ত্রাসীসহ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, পুরাকীর্তি, মুদ্রাইত্যাদি পাচার প্রতিহত করা এবং জড়িতদেরগ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ইন্টারপোল বিশেষ ভূমিকারাখছে।১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্তসময়ের মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ)থেকে একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক চোরাচালানী দলএ দেশের অসংখ্য মহামূল্যবান পুরাকীর্তি (ব্রঞ্জ ওপ্রস্তুর নির্মিত দেব-দেবীর ভাস্কর্য) বিদেশেপাচার করে।

 ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে পুলিশ ঢাকার হোটেলইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান রুপসী বাংলা) থেকেবিদেশে পাচারের জন্য সংগৃহীত ৬৮ টি বিভিন্নধরনের মহামূল্যবান ভাস্কর্য নিদর্শন উদ্ধার করে।স্বধীনতা লাভের পর পুরাকীর্তি পাচার এতই বৃদ্ধিপায় যে, শেষ পর্যন্ত দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোআক্রান্ত হতে থাকে, আঞ্চলিক ছোট-খাটজাদুঘরগুলোতে চুরি-ডাকাতি আরম্ভ হয়। এক কথায়সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দারুণ হুমকির মুখে পতিত হয়। এসব অপরাধ যারা পরিচালনা করত তাদের অনেকেইছিল দেশী-বিদেশী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। রাষ্টীয়আইনের ফাঁক দিয়ে তারা প্রায়শই পুলিশের ধরাছোঁয়ারবাইরে থেকে যেত। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বেসরকারীপাচার মাধ্যমগুলোয় দেশের পুরাকীর্তিসমূহেরপুনরুদ্ধারের জন্য গণ-দাবি উত্থাপিত হতে থাকে।ঠিক তখনই বাংলাদেশ ইন্টাপোলের সদস্য পদ গ্রহণকরে।

১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ইন্টাপোলের সদস্যপদগ্রহণের পর বিদেশে পাচারকৃত পুরাকীর্তিসমূহফিরিয়ে আনতে পারেনি সত্যি তবে পাচারকৃতপুরাকীর্তির উপর জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিচালনায়সফলতা অর্জন করেন এবং আন্তর্জাতিকভাবেপুরাকীর্তি আইন গঠনে ভূমিকা রাখে।যে সংস্থাটি ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৯ টি দেশেরপ্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয়েছিল, ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দেতার সদস্যভুক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫-তেপৌঁছে। ইন্টারপোলের কর্মকান্ডের ব্যাপক পরিধি ওসক্রিয়তার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দেএর সদস্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে একশ’তে উন্নীতহয়।ইন্টারপোলের সদস্যভুক্তির পর বাংলাদেশ পুলিশেরউচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সময়েসংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেনএবং আন্তর্জাতিক অপারাধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশেরভূমিকা ও প্রচেষ্টার বিষয়ে ইন্টারপোলের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশ ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে এসংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয় এবংমূল্যবান পরামর্শ ও নতুন পরিকল্পনা দিয়ে সংস্থারবিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


Unordered List

আর্কাইভ

ইউটিউব গ্যালারি

sfd

sfd

আমাদের কথা

বেশি পড়া হয়েছে

যুক্ত হউন

সাম্প্রতিক

আপনি একজন ............

জানতে চাই আপনার কথা

Name

Email *

Message *